Mashrafi bin mortuza(captain) |
ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলংকাকে ১৬৩ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ।
জয়ের জন্য ৩২১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৩২ ওভার ২ বলে ১৫৭ রানেই গুটিয়ে যায় লঙ্কানরা।
দলের পক্ষে থিসারা পেরেরা সর্বোচ্চ ২৯ রান করেন। এছাড়া দিনেশ চান্ডিমাল ২৮ ও উপুল থারাঙ্গা ২৫ রান করেন।
বাংলাদেশের পক্ষে সাকিব আল হাসান তিনটি, মাশরাফি বিন মুর্তজা ও রুবেল হোসেন ২টি করে এবং নাসির হোসেন ও মোস্তাফিজুর রহমান একটি করে উইকেট নেন।
৩২১ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শ্রীলংকার শুরুটা ভালো হয়নি। দলীয় দুই রানেই তাদের প্রথম উইকেটের পতন হয়।
সিরিজে নিজেদের প্রথম ম্যাচের মতো এদিনও টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি স্পিন দিয়েই শুরু করেন। তবে আগের দিন শুরুতে সাকিবের হাতে বল তুলে দিলেও ম্যাশ এদিন আস্থা রাখেন নাসিরের ওপর। সাকিবের মতো প্রথম ওভারে না পারলেও প্রতিদান ঠিকই দিয়েছেন নাসির। নিজের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই শ্রীলংকার উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান কুশল পেরেরাকে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরত পাঠান। কুশল করেন ১ রান।
এরপর ব্যাট করতে নামা কুশল মেন্ডিসকে সঙ্গে নিয়ে শ্রীলংকাকে এগিয়ে নিতে থাকেন আরেক উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান উপুল থারাঙ্গা। ইনিংসের দশম ওভারে বোলিংয়ে এসে থারাঙ্গাকে সাজঘরে ফেরত পাঠিয়ে ৪১ রানের এই জুটি ভাঙেন অধিনায়ক মাশরাফি। মিডঅফে মাহমুদুল্লাহর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে থারাঙ্গা করেন ২৫ রান।
থারাঙ্গার বিদায়ের পর ব্যাট করতে নামেন উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান নিরোশান ডিকভেলা। তাকে সঙ্গে নিয়ে দলীয় সংগ্রহে আরও ১৯ রান যোগ করেন কুশল মেন্ডিস। চতুর্দশ ওভারে বোলিংয়ে এসে আবারও জুটি ভাঙেন টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি। এবার তার শিকার কুশল মেন্ডিস। মাশরাফির স্লোয়ার ডেলিভারিতে ইনসাইড আউট খেলতে গিযে ব্যাটে-বলে ঠিকমতো করতে পারেননি মেন্ডিস, মিডঅফে ধরা পড়েন রুবেল হোসেনের হাতে। তিনি করেন ১৯ রান।
কুশল মেন্ডিসের বিদায়ের পর ব্যাটিংয়ে নামেন দিনেশ চান্ডিমাল। ডিকভেলাকে সঙ্গে নিয়ে বিপর্যয় সামলে দলকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালান তিনি। তবে সেই চেষ্টায় বাধ সাধেন টাইগার পেসার মোস্তাফিজ। ১৯তম ওভারে দলীয় ৮৫ রানে ডিকভেলাকে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরত পাঠিয়ে জুটি ভাঙেন 'ফিজ'। ডিকভেলা করেন ১৬ রান।
ডিকভেলার বিদায়ের পর ব্যাট করতে নামেন আসেলা গুনারত্নে। তাকে নিয়ে দলীয় সংগ্রহে আরও ২১ রান যোগ করেন দিনেশ চান্ডিমাল। তবে দলীয় ১০৬ রানে রান আউটে কাটা পড়েন তিনি। সাকিবের দারুণ থ্রোতে বিদায় নেওয়ার আগে তিনি করেন ২৮ রান।
দারুণ থ্রোতে চান্ডিমালকে বিদায় করার সাকিব পরের ওভারে বোলিংয়ে এসে তুলে নেন জোড়া উইকেট। তার জোড়া আঘাতে দিশেহারা হয়ে পড়ে শ্রীলংকার ব্যাটিং লাইনআপ। ২৬তম ওভারে দলীয় ১১৭ রানে গুনারত্নেকে (১৬) প্রথমে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে সাইফুদ্দিনের ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে ফেরত পাঠান সাকিব। পরেই বলেই উড়িয়ে মারতে গিয়ে উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের হাতে ধরার পড়েন ওয়ানিডু হাসারাঙ্গা (০)। এর মধ্য দিয়ে শ্রীলংকার ষষ্ঠ উইকেটের পতন হয়।
দলের ষষ্ঠ উইকেটের পতনের পর যেন মারমুখী হয়ে ওঠেন থিসারা পেরেরা। সাকিবের করা ৩০তম ওভারের প্রথম চার বলে দুটি চার ও দুটি ছয়ে ২০ রান তুলে নেন তিনি। তবে পঞ্চম বলে আর পারেননি, সীমানায় মাহমুদুল্লাহর হাতে ধরা পড়ে বিদায় নেন। তবে সাজঘরে ফেরার আগে ২৯ রান করেন তিনি। এর মধ্য দিয়ে শ্রীলংকার অষ্টম উইকেটের পতন হয়।
পরের ওভারেই সুরঙ্গা লাকমলকে(১) বোল্ড করে শ্রীলংকার নবম উইকেটের পতন ঘটান পেসার রুবেল হোসেন। মাঝে এক ওভার বাদ দিয়ে ৩৩তম ওভারে রুবেল ফের বোলিংয়ে এসে আকিলা ধনঞ্জয়াকেও তুলে নিলে ১৫৭ রানেই গুটিয়ে যায় শ্রীলংকা। সাকিবের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে তিনি করেন ১৪ রান।
কাজটা আগেই করে দিয়েছেন ব্যাটসম্যানরা। কোনো সেঞ্চুরি না থাকলেও অসাধারণ টিম পারফর্মেন্সে ৩২০ রানের পাহাড় গড়ে বাংলাদেশ। এই রানের পাহাড় টপকানো লঙ্কানদের জন্য ছিল কঠিনতম কাজ। রানের পাহার তাড়া করতে এসে ৩২.২ ওভারে সবকটি উইকেট হরিয়ে ১৫৭ সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় লঙ্কানরা।
No comments:
Post a Comment